আমরা এখন একটা পরিপূর্ণ কোম্পানি হতে চলছি, তবে এই পরিপূর্ণ শব্দটা বলতে আমার পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ ১০ বছর, আপনাদের সাথে এই দীর্ঘ জার্নির কিছু কথা শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ ।
শুরুর দিকের শুরু টা যেমন ছিল : ২০১৪ সালে সিটি চা এর পথ চলা শুরু হয়েছিল, শুরু টা সহজ ছিল না, সহজ বলতে মোটেই সহজ ছিল না, এখানে একটা একটা কথা বলে রাখি ওহম এর সূত্র মতে “বিদ্যুতের গতি পথে যত বাঁধা আসে ততই ভোল্টেজ বৃদ্ধি পায়! ” তেমনি আমাদের পথ চলা অনেক বাধাবিঘ্ন আসছে, নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছি, তবে এই সব বাঁধাকে সফলতার পথে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছি। কারণ ব্যর্থতার মাঝে সফলতার বীজ থাকে শুধু ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকলে দিন শেষে সফলতার হাসি টা দেখা যায়, আমরা পরিপূর্ণ সফল হয়েছি এমনটা না, কারণ সফলতার শেষ নেই, আমরা আরও বিস্তার ভাবে আপনাদের ভালোবাসায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে চাই।
আমাদের জার্নিটা যেমন ছিলঃ ফেরিওয়ালার মতো চা-ওয়ালা হয়ে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে দোকানে দোকানে গিয়ে, ভাই চা লও, চা লও, লিকার ভালো, কষ যুক্ত, ফ্লেভারের তুলনা নেই, উন্নত মানের কোয়ালিটি সম্পন্ন চা দিয়ে আপনাদের মনের মতো ব্লেন্ড করা চা । এক দোকান কথা ঠিকই, শোনে বটে অন্য দোকান পাত্তা দেয়না, তবুও ডোর টু ডোর অধৈর্য্য না হয়ে সংগ্রাম চালিয়ে গেছি অনবরত । কারণ আল্লাহর উপর ভরসা রেখে,মনে ছিল সাহস, নিজের প্রতি ছিল অগাধ আত্মবিশ্বাস আর আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে মন জয় করার অদম্য ইচ্ছে শক্তি ও সাহস ।
সিটি চা এর গল্পঃ প্রতিটি জিনিসের সুন্দর নামের প্রয়োজন, কারণ নামের মাধ্যমে অনেক কিছু ফুটে তোলে, সুন্দর একটা নাম দিয়ে হতে পারে একটা আর্কষণীয় ভাবমূর্তি, সিটি চা মানেই অন্য রকম একটা অনুভূতি । আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘ ১০ বছরের পথ পাড়ি দিয়ে, আপনাদের ভালোবাসার ফ্রেমে বন্দী হয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের এই সুনাম ও সুখ্যাতি এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন চা পাতা দিয়ে, আপনাদের মনে স্থান করে নিতে পেরেছে “সিটি চা ” একটি ব্রান্ড হিসেবে।
পরিশেষে এটা বলার ছিল যে এভাবেই আপনারা সিটি চা এর হার্টবিট হয়ে থাকবেন আর সিটি চা আপনাদের হৃদপিণ্ড হয় থাকবে ইনশাআল্লাহ । আপনাদের সাড়াজাগানো এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত ভালোবাসাই আমাদের পথ চলার অঙ্গীকার। আশা করি সব সময় আপনাদের দোয়ার ও সাথে রাখবেন!